বরিশালের মেয়ে আসমা আক্তার রেবু (২৬) নামে এক অন্তঃসত্ত্বাকে রাজধানীতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী পরিবারের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে কালশীর ই-ব্লকের দুই নম্বর সড়কের ৭৮ নম্বর বাসায় বেধরক পিটুনিতে রক্তাক্ত হয় ওই নারী। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে স্বামী বুলবুল, শ্বশুর আব্দুল ছালেক এবং ননদ লুবনাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’ যদিও অভিযুক্ত পরিবারের দাবি- আসমা আক্তার রেবুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি। সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা জানাজানি হবার পর স্বামীর বাড়িঘর ঘেরাও করে ভেঙে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ- রেবু ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেনি। আত্মহত্যার নাটক তৈরি করা হচ্ছে। তাকে মধ্যরাতে শাশুড়ি ও ননদের সহযোগিতায় স্বামী বুলবুল বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। মারধরের কষ্টে চিৎকার চেঁচামেচি করলে এলাকাবাসী এগিয়ে যায়। কিন্তু শ্বশুর-জামাই কেউ গেট খুলে দেয়নি। পিটুনিতেই তিনি মারা যান। তিনি গর্ভবতী ছিলেন। বৃহস্পতিবার তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- নিহতের স্বামী বুলবুল এর আগেও বিবাহ করেছিলেন। তবে সংসার টেকেনি। নিহতের শ্বশুরের নাম আব্দুল ছালেক। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি ওই নারী আত্মহত্যা করেছে। তবে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর দাবি ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই নারীর দেড় বছরের সন্তানও রয়েছে। তিনি গর্ভবতী কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই সব পরিষ্কার হবে। ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে স্বামী বুলবুল, শ্বশুর আব্দুল ছালেক এবং ননদ লুবনাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিহতের স্বজনরা আসলে মামলা হবে বলে জানান ওসি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply